শ্রমিকরা জানায়, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আইনগত বকেয়া পরিশোধ না করে জোরপূর্বক অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে বের করে দেয়। তাই পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
শ্রমিক মো. রতন হোসেন বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি। কিন্তু আমাদের হঠাৎ করেই কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করেছেন। তারা আইনগত পাওনাদি পরিশোধ করেনি। এই মুহূর্তে আমরা অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এখন আমরা চাকরিও পাচ্ছি না। আমরা অমানবিক জীবনযাপন করছি। আমরা বাসা ভাড়া দিতে পারছি না।
এ ব্যাপারে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া ধামরাই আঞ্চলিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রতন হোসেন মোতালেব বলেন, অন্যায়ভাবে শ্রমিকদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কাজ থেকে বিরত রেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। অবিলম্বে শ্রমিকদের আইনগত বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি। আমরা শ্রমিকদের টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছি। তাদের শ্রমিকদের বেতন শ্রমিকদেরই পরিশোধ করবেন। আমরা আমাদের হাতে শ্রমিকদের বেতন চাইব কেন?
এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর সাভার ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সুলতান মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করছি।
কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. মনির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে কয়েকজন জমায়েত হয়েছেন তার মধ্যে আমাদের মাত্র ৫-৬ জন শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিকরা আইন অনুযায়ী টাকা পাচ্ছেন। শ্রমিকরা শিডিউল অনুযায়ী রিজাইনের টাকা পাবেন এবং পাচ্ছেন। তবে শ্রমিক নেতারা আমাদের কাছে যা চাচ্ছেন তা দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের শ্রমিকদের যদি কিছু পাওনা থাকে, তাদের সরাসরি কারখানা দেবে। কিন্তু শ্রমিক নেতাদের হাতে টাকা দেওয়া হবে না।
সোর্স: ঢাকা পোস্ট ডট কম।